করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় পরামর্শ ও আহ্বান সম্বলিত চারটি বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৯ মার্চ) প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বার্তাগুলো প্রচারের জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও বার্তাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো।
...করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আপনার করণীয়:
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। বাইরে বের হলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন। যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা ১৪ দিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন। যেখানে-সেখানে কফ-থুতু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ঘরে বসে প্রার্থনা করুন। পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে এসব পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
...করোনা ভাইরাসে ভীত হবেন না:
করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ সংহারী হয়ে উঠেছে। আপনার পরিবারের সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তা-ভাবনার বিলোপ ঘটায়। আপনি, পরিবারের সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।

...সহনশীল ও সংবেদনশীল হোন:
করোনা ভাইরাসের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। এ সময়ে আমাদের সহনশীল এবং সংবেদনশীল হতে হবে। বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। যতটুকু না হলে নয়, তার অতিরিক্ত কোনো ভোগ্যপণ্য কিনবেন না। সীমিত আয়ের মানুষকে কেনার সুযোগ দিন। অসহায় মানুষের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
...সুরক্ষা ও চিকিৎসাসামগ্রীর ঘাটতি নেই:
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসহ (পিপিই) পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুত রয়েছে। ঢাকায় চারটি স্থানে এবং চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য ছয়টি বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার স্থাপনের কাজ চলছে। কেউ গুজব ছড়াবেন না। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here