বিশ্বব্যাপী কোভিড-নাইনটিনের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিটি দেশকে তাদের নাগরিকদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করাসহ যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করার ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
ভাইরাস ছড়াবে না এমনটা ভেবে, অসতর্ক হয়ে নিজে ও অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কারণেই করোনা মহামারী হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার, মারা গেছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ।
শ্রীলঙ্কায় আক্রান্তের সংখ্যা খুব একটা বেশি না হলেও, সরকারের কড়া পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো। বিদেশি নাগরিকদের শ্রীলঙ্কা সফরে জারি আছে নিষেধাজ্ঞা। কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি।
এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩শ’ ছাড়িয়েছে। লকডাউন করে দেয়া হয়েছে করাচি। প্রতিবেশী ভারতের বস্তিগুলোতে, কোভিড-নাইনটিন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সুপেয় পানির অভাবই এ জন্য দায়ী বলছেন তারা।
ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দাবি করেছেন, সংকট শুরুর প্রথম দিন থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে তেহরান।
জাপান ৩৮টি দেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। যার বেশিরভাগই ইউরোপের দেশ। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সব পানশালাসহ বিপণীবিতান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সঠিকভাবে কোভিড নাইনটিন শনাক্ত করে, সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া গেলে মহামারি থেকে বেরিয়ে আসবে বিশ্ব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলছেন, আপনি ধরে নেবেন না, আপনি আক্রান্ত নন। এখন সচেতনতার সময়। সচেতন থাকুন। অনুমানের ওপর বসে থেকে নিজে আক্রান্ত হবেন না, অন্যকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। করোনাভাইরাসের সংকট দেখা দেয়ার ৬০ দিনের মাথায় প্রথম ভ্যাকসিনের ব্যবহার ঘটেছে। এটা একটা বড় অর্জন।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে ক্রমেই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। লকডাউন পরিস্থিতি থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এর মধ্যেই বেইজিং জানিয়েছে, জাপানের তৈরি করা ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ, করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এছাড়া অন্য দেশগুলোর গবেষণার অগ্রগতিতেও, আশার আলো দেখছেন বিশ্লেষকরা।