#হুমায়ুন____কবির_____খোকন
#করোনায়__শাহাদাত_বরণকারী
#দেশের__প্রথম____কলমযোদ্ধা

শামসুল হুদা মিন্টু

ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও সিটি এডিটর হুমায়ুন কবির খোকন ইন্তেকাল করেছেন। মঙ্গলবার রাত ০৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরাস্থ রিজেন্ট হসপিটালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ইন্না’লিল্লাহি ওয়া ইন্না’ইলাহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। দাঁতের ব্যাথাসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি হসপিটালে ভর্তি হয়ে ছিলেন। মৃত্যু পরবর্তী তাঁর করোনা টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে শাহাদাৎ বরণকারী তিনিই প্রথম সাংবাদিক। করোনাবিদ্ধ সময়ের প্রথম কলমসৈনিক খোকনের পরিবারের জন্য ন্যায্য-যথাযথ সম্মাননা দাবী করছি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব রহমান গণমাধ্যমকে বলেন,২০ এপ্রিল থেকে বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছিলেন হুমায়ুন কবির খোকন। তার দাঁতে ব্যথা ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। গত শুক্রবার থেকে তার জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে বিএফইউজের মহাসচিবসহ সিনিয়র সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাম্বুলেন্সে তাকে উত্তরার রিজেন্ট হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। রাত ১০টা নাগাদ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ বলেন, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে হুমায়ুন কবির খোকনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। যে অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয়, সেখানে অক্সিজেনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের হাসপাতালে আনার পর কিছু করার ছিল না। অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর কিছু সময় আগে পরীক্ষার জন্য খোকনের নাকের সোয়াপ সংগ্রহ করা হয়েছে।

মরহুম খোকন দৈনিক আমাদের সময়,দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, দৈনিক মানবজমিন সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চিফ রিপোর্টার, ডেপুটি এডিটর হিসেবে কাজ করেন। ঢাকাস্থ বৃহত্তর কুমিল্লা
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির খোকন বর্তমানে সময়ের আলোতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সদস্য।

সাংবাদিকদের জন্য সরকারের গৃহিত ইতিবাচক পরিকল্পনায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। করোনাবিদ্ধ সময় ঝুঁকির পেশায় নিয়োজিত গণমাধ্যম কর্মীদের বীমাসহ ইত্যাদি প্রণোদনা দেয়ার সংবাদে তথ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানো খোকনের পরিবার কি সরকার থেকে কোনো ধরনের সসহযোগিতা পাবেন?? কোনো দান-প্রদান কিংবা সুযোগ-ক্ষতিপুরণে খোকন ফিরে আসবেন না। তাঁর আত্মত্যাগেরও জাগতিক কোনো মূল্যমান নির্ধারণ সম্ভবপর নয়। তবুও তাঁর স্ত্রী সন্তানরা সরকারের সহানুভূতি পাবেন এটাই প্রত্যাশা করি। যাতে করে অন্যরা মাঠে-ময়দানে থেকে জীবনবাজি করে যুদ্ধ চালাতে পারে।
২ মেয়ে ১ পুত্রের জনক হুমায়ুন কবির খোকনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here