নো টেস্ট নো পজেটিভ- এ নীতির কারণেই হয়তো দেশের করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। আবার কোনো দ্বৈব কারণেও এমনটা হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে ভেতরে ভেতরে সংক্রমণ হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এক্ষেত্রে পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনকে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ তাদের।

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনা বাংলাদেশে প্রথম ঘোষণা আসে ৮ মার্চ। এক দিয়ে শুরু এরপর দিনে দুই থেকে তিন, সর্বোচ্চ ছয়। মাঝেমধ্যে মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার শূন্য। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৩১ জন। হটলাইনে করোনা সংক্রান্ত ফোন এসেছে ৮২ হাজারের বেশি। এর বিপরীতে মোট টেষ্ট করা হয়েছে ১ হাজার ৬৮টি, মোট পজেটিভ ৪৮।
অথচ বিশ্ব পরিস্থিতি পুরোই ভিন্ন। জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, এসব ক্ষেত্রে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সূচক প্রথমে ঊর্ধ্বমুখী, পরে সমতল এরপরে তা নিয়ন্ত্রণ আসতে থাকে। তবে বাংলাদেশে এমন কেন?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, ডব্লিউএইচ এর প্রধান জোর দিয়েছেন টেস্ট, টেস্ট,অ্যান্ড টেস্ট। সীমাবদ্ধ টেস্ট করার ফলে আমরা সবগুলোকে টেস্ট করতে পারব না।
সংক্রমণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী বলেন, সক্রমণের পর থেকে সংখ্যা বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু গত তিনদিন কোনো কেসই ছিল না। আমার মনে হয় সমস্যাটা হলো আমরা খুব বেশি পরীক্ষা করতে পারছি না।
বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা-হঠাৎই বাড়তে পারে ভয়াবহতা। সেক্ষেত্রে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া, আরও বেশি বেশি টেষ্ট করে পজেটিভ রোগী খুঁজে আইসোলেশনে নিয়ে আসা হয়তো কাজে আসতে পারে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে লকডাউন ছেড়ে দিলে। তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
দেশের বর্তমান বাস্তবতায় কেউ কেউ ভাগ্যের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন সব।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here