যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করেছে। এবার একই দাবি করেছে সুইজারল্যান্ডের রোচে হোল্ডিং এজি সংস্থা। তাদের দাবি, নতুন এ ভ্যাকসিনে নাকি সমূলে নির্মূল হবে করোনা ভাইরাস। এই ভ্যাকসিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসের গভীর ক্ষত সারিয়ে তুলবে এবং ইন্টারলিউকিন ৬ প্রোটিনের ভারসাম্য রক্ষা করবে। ভ্যাকসিনটির নাম দিয়েছেন তারা অ্যাকটার্মা। ইতোমধ্যে করোনার আঁতুড়ঘর চীনের উহানে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সুইজারল্যান্ডের এ সংস্থাটির বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানায়, শুধু চীনেই ২০ লাখ ডলার অ্যাকটার্মা বিক্রি করেছেন তারা। এতে জানুয়ারি মাসে ২.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করেছে সংস্থাটি।
চীনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু হয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, আগামী মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ১৮৮ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ওপর এ ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করবেন চীনা গবেষকরা।
এমন খবরে চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রিশন রোচের তৈরি ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে।
করোনা রোগী সারাতে ভ্যাকসিনটি কেমন কার্যকরী সে কথা প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, রোগীর ইন্টারলিউকিন ৬ সংক্রান্ত উপসর্গে দারুণ কাজ করে এই অ্যাকটার্মা। এ ছাড়া ফুসফুসের ক্ষত সারিয়ে শ্বাসযন্ত্রকে ফের শক্তিশালী করে এটি। যে কারণে আক্রান্ত রোগী করোনার ছোবলমুক্ত হয়।
এদিকে চীনের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অ্যাকট্রার্মা বিষয়ে বিশেষ কোনো বার্তা আসেনি এখনও। রোচের এই ওষুধকে এখনও সরকারিভাবে সিলমোহর দেয়নি চীন প্রশাসন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে চীনের অনেক ভাইরোলজিস্ট অ্যাকট্রার্মাকে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here