বিদায় বাণী
(মৌলানা এরফান আলী সাহেবকে)
কবিয়াল রমেশশীল
শিক্ষার মশাল হাতে এসেছিলে
বিয়াল্লিশ বছর আগে,
সেই অবদান ভাবিয়ে তোমার
পূর্ব স্মৃতি মনে জাগে।
কধুরখীল স্কুল তব কর্মস্থান,
জন্মস্থান পটিয়ায়,
স্থান পাত্র ভেদ ছিল না তোমার
তোমারে ভুলা না যায়।
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ সবারে
করেছ শিক্ষা প্রদান,
ছাত্র পুত্র কর নাই ভেদ
করেছ সমান জ্ঞান।
অনির্বাণ তব প্রাণের আলোকে
অন্তরে হবেনা ক্ষীণ,
স্মরণ রাখিবে দেশবাসীগণ বাঁচিবে যতেক দিন।
এ দেশের হিতে অহেতুকী দয়া
করেছ সবার প্রতি।
বার্ধক্যের জরা উপেক্ষিত তবু
শিক্ষাতে আছিলে ব্রতী।
চলার পথেও নিজ ছাত্রদের
কখনো দেখা পেলে, নিজ পুত্র সম শুধাতে কুশল
ছাত্রেরা সদা বলে।
তোমার চেষ্টায় শিক্ষিত কত
প্রফেসার ইঞ্জিনীয়ার,
কত জনে তুমি দানিলে বিদ্যা
ইয়ত্বা নাহিক তার।
সুকীর্তি সৌরভ গৌরবে আজি
যত গ্রামবাসীগণ,
শ্রদ্ধা উপহারও করে তােমার
করে আজি অরপণ।
বিদায় দানিতে বুক ভেঙে যায়
অশ্রুসিক্ত আঁখি,
প্রাণে চায় তোমা চিরদিন তরে
আপন করিয়ে রাখি।
বিদায় বাণীতে রমেশ শীল
আজ কি আর বলিতে পারি?
সূত্র- কধুরখীল স্কুলের হীরক জয়ন্তী’৯২ (প্রাক্তস্মর) [ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষক মরহুম আলহাজ্জ এরফান আলী সাহেবের উদ্দ্যেশ্যে সংকলিত]। বানানরীতি বলবত রাখা হয়েছে।
এবি/টিআর ১৬-৬-২০১৯