নিজস্ব প্রতিবেদক :বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল শনিবার রাতে প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে। নির্বাচনী এলাকায় মোটর সাইকেল ও বহিরাগতদের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভোট গ্রহণের জন্য ব্যালেট পেপার, বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম আজ রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে ৩জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১জন ও সদস্য পদে ৫৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দীর্ঘদিন পর এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় এলাকার ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়েছেন শফিউল আজম শেফু ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রেজাউল করিম খোকন এবং মোটর সাইকেল প্রতীকে আবু জাফর মোহাম্মদ মুছা।
দলীয় প্রার্থী শফিউল আজম শেফুকে বিজয়ী করতে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণ সংযোগ করেছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা।
দীর্ঘদিন এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি সমর্থীত মো. ইদ্রিচ। ফলে এলাকার তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি বরং অবহেলিত ছিল এ এলাকা- অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের। নৌকা বিজয়ী হলে এ এলাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
দক্ষিণজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দীন মোহাম্মদ এমরান বলেন, আওয়ামী লীগ একজন পরিশ্রমী ও সৎ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। আশা করি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে শঙ্কার অবকাশ নেই। এলাকার ভোটররা দীর্ঘদিনের বঞ্চনাকে মাথায় রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন।
এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন সাংবাদিক সম্মেলনে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত লোকজন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকার সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী ৯টি কেন্দ্রেকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু রাখতে কাজ করছে। ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে এ ইউনিয়নে ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৮৪৩ জন। এরমধ্যে ৫ হাজার ৫৯০ জন পুরুষ ও ৫ হাজার ২৫৩ জন মহিলা ভোটার। ৯টি কেন্দ্রে ও ৩৫টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।