নিজস্ব প্রতিবেদক : বোয়ালখালী উপজেলার আসন্ন কধুরখীল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছেন জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই নৌকার বিজয়ে নিরলস কাজ করে চলেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। আওয়ামী নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কধুরখীল ইউনিয়নের উন্নয়নে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এবারের কধুরখীল ইউপি নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীতা নেই চেয়ারম্যান পদে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব চক্রবর্তী ও আওয়ামী ঘরণার রেজাউল করিম খোকন চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এরমধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের অনুরোধে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব চক্রবর্তী মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

কধুরখীল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল আজম শেফু ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন রাজীব চক্রবর্তী, আবু জাফর মোহাম্মদ মুছা, রেজাউল করিম খোকন এবং মালেকুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা চান না আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা থাকুক। ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তারা কাজ করবেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিউল আজম শেফু বলেন, নিজের স্বার্থে নয়, আওয়ামী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহে এলাকাবাসীর স্বার্থে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আশা করি আসন্ন নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

২০০৩ সালে নির্বাচনের পর কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আইনী জটিলতায় অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। দীর্ঘ সাড়ে ১১বছর পর আগামী ১৪ অক্টোবর কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় এলাকায় বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা।

ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৬০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে যাছাই-বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কধুরখীল ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ১০হাজার ৭শত ৯৫জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে ৫হাজার ৫শত ৫৩জন পুরুষ ও ৫হাজার ২শত ৪২জন মহিলা ভোটার।

ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২৩ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here