মতবিনিময় সভায় আবদুচ ছালামের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট সৈয়দ নুরুল ইসলাম সিআইপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ- বোয়ালখালী) আসনে বিজয়ী আবদুচ ছালামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সৈয়দ নুরুল ইসলাম সিআইপি বলেছেন, আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছি। আমাদের লালিত স্বপ্ন নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করা। তাই আওয়ামী পরিবারের মানুষ হয়ে কেটলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছি। নগরীর ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের মিটিং রুমে গতকাল সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে তিনি জনগণের অংশগ্রহন মূলক সুষ্ঠ, সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসামান্য ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। নির্বাচনের একেবারে শেষের দিকে চান্দগাঁওয়ের কিছু এলাকায় বোমাবাজি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে অনভিপ্রেত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার গাড়িতেও ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণা ও মানুষের দোয়ার বরকতে প্রাণে রক্ষা পাই। এ হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচন বানচালের যে অপচেষ্টা বিএনপি-জামায়াত করেছে এটা তার অংশ হতে পারে অথবা পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রতিদ্ব›দ্বীদের কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও এ সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করা এবং জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সবদিক বিবেচনায় আমাদের জন্য নির্বাচনটা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জনগণের ভালবাসা নিয়ে বিজয় অর্জন করার মধ্যে গৌরব ও আনন্দটাই বেশি অনুভব করছি। আমার বড় ভাইসহ আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার। কেটলি প্রতীকে নির্বাচন করতে গিয়ে, জনমুখে যখন স্লোগান শুনেছি-কেটলি মার্কায় দিলে ভোট, নৌকায় গিয়ে পড়বে সে ভোট। তখন বুঝেছি আমার পরিবারের আওয়ামী রাজনীতিতে কোনও ভুল হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানা কারণে ঝুলে থাকা কালুরঘাট সেতুটা আবদুচ ছালাম এর মাধ্যমে এবার নিশ্চয়ই আলোর মুখ দেখবে। কারণ তিনি জানেন, কিভাবে একটি প্রকল্পকে ফিজিবল করা যায়। তিনি কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উল্টোদিক থেকেই চিন্তা করেছেন। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন আমি কেবল কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করে বসে থাকতে চাইনা, চাই শহরের সাথে সংযুক্ত বোয়ালখালীর সামগ্রিক উন্নয়ন। শহরের সাথে সহজ সংযোগ স্থাপন করতে হলে এ এলাকার মানুষের হৃদয়ের দাবী কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় কর্মবীর আবদুচ ছালামের হাত ধরে আমরা নিশ্চয়ই আগামী দু’বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান অবস্থায় দেখতে পাব ইনশাল্লাহ।