২৯১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় হাজারের মতো শিক্ষকের চাকরি সরকারি হতে যাচ্ছে। আগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই এ সব শিক্ষকের চাকরি সরকারি করার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি হওয়া স্কুলগুলোর শিক্ষকদের যাচাই-বাছাই চলেছে বেশ কয়েক মাস ধরে। বিভিন্ন কারণেই কাজটি এখনো শেষ হয়নি। তবে শিক্ষকদের সরকারি হওয়ার তালিকার খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে। ২৮ তারিখে মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ সভা হবে এ ব্যাপারে, এরপরই জানা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

সচিব জানান, সরকারিকরণের লক্ষ্যে কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে দেড় হাজারের মতো শিক্ষককে বাছাই করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিভাগীয় অভিযোগ এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার কারণে কয়েকশ শিক্ষক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সব রেজিস্টার্ড, এমপিওভুক্ত এবং আবেদিত ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কয়েকটি ধাপে জাতীয়করণ করা হয়। একইসঙ্গে পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি পরিচালিত ২ হাজার ৩১০টি বিদ্যালয়ও জাতীয়করণ করা হয়।

জাতীয়করণের তৃতীয় ধাপে সারাদেশে ৫৪৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে তখন ২৯১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারীকরণ করা সম্ভব হয়নি। এতে করে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষকের সরকারিকরণ কার্যক্রম আটকে যায়। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ায় ২০১৭ সালে আটকে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই এবার সরকারি হচ্ছেন।

সরকারি হওয়া শিক্ষকরা ২০১৪ সালে প্রণীত সরকারি বেতন স্কেলে যুক্ত হবেন।

এদিকে, প্রাথমিকের পাশাপাশি নতুন ঘোষিত সরকারি কলেজগুলোর দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরিও সরকারি হচ্ছে এ বছর। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ধাপে সরকারি হওয়া ৩০৩টি কলেজের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্য থেকে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে ২০১৯ সাল শেষ হওয়ার আগেই সরকারি করা হবে।

সারাবাংলা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here