নিজস্ব প্রতিনিধি : শহরতলী বোয়ালখালী উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত এ উপজেলা। প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস বোয়ালখালীতে। তবে সেই অনুপাতে নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ জয়ী হয়েছেন। এবার এ এলাকার ভাগ্য পরিবর্তন হবে ? -এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
কালুরঘাট সেতু থেকে শুরু করে উপজেলার বেশিরভাগ সড়কের পরতে পরতে খানাখন্দে ভরপুর।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন আসছে ঠিকই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। নির্বাচন আসলে আশ্বাস থাকলেও বাস্তবায়নের বেলায় পাওয়া যায় না । মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
স্থানীয়রা জানান, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে দেড় দশক ধরে এক্স-রে মেশিন নস্ট, পাহাড়ে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণে নেই হিমাগার, দুই দশক ধরে বাস সার্ভিস নেই, বােয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নেই এ্যাম্বুলেন্স, জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন কারণে অনাবাদি হয়ে পড়ছে শতশত একর জমি, নানা সংকটে ভুগছে কানুনগােপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালের ২৬ জুন সাবেক সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল কালুরঘাট সেতু না হলে সংসদ সদস্য পদ সরে দাঁড়ানোর হুমকিও দেন। এরপরই আবারও উঠে আসে এ অঞ্চলের অনুন্নয়নের চিত্র। বাদলের মৃত্যুতে শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আবারও আশার সঞ্চার হয়েছে। তাদের দাবি শুধু কালুরঘাট সেতু নয়, পুরো এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নসহ উপজেলার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন।