অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। ২৫ মে গাজীপুর কোনাবাড়ী ও চন্দ্রায় দুটি উড়ালসড়ক ও চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্বোধন করবেন। আশা করা যায়, এবারের ঈদে আর যানজট হবে না।

আজ রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা উড়ালসড়ক, ঢাকার যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা।

পরিবহন খাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআরটিসির বাস ও ট্রাক চলে আসছে। এতে গণপরিবহনের ঘাটতি পূরণ হবে।

আগামীকাল থেকে বিআরটিসির ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, এখন আর বাসের সংকট থাকবে না। গণপরিবহনের শূন্যতা পূরণ করতে পারব।

নিজের চিকিৎসার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ জুলাই চেকআপ করাতে সিঙ্গাপুরে যাব। ভারী কাজ করতে চিকিৎসকেরা নিষেধ করেছেন। দুইমাস পরপর চেকআপ করাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আগের মতো রাস্তায় রাস্তায় রোদ-বৃষ্টি একাকার করে কাজ করতে পারবো না। তবে ধীরে-ধীরে দুই-তিন মাস পর আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠব, ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, আগামীকাল আমি পার্টি অফিসে যাবো। দুর্বলতা আছে, তবে মানসিকভাবে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত। শারীরিকভাবেও সুস্থ আছি। এক দেড় মাস পর আগের মতো সমস্ত কাজ করতে পারব।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অনুপস্থিতিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টিম ওয়ার্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেছেন। সম্মেলন অনুষ্ঠানের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি।

এর আগে প্রায় আড়াই মাস পর আজ রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে অফিস করছেন। মন্ত্রণালয়ে আসার পর সচিবসহ কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এর পর তিনি কিছু ফাইলে সই করেন। পরে তিনি সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সকালে বুকের ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। পরে ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here