অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন অর্থবছরে দেশের বাজেটের আকার সর্ম্পকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের এবারের বাজেট হবে ৫ লক্ষ কোটি টাকার উপরে। আগামী ১৩ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন সমগ্র দেশব্যাপী করার জন্যই বছর বছর বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন টানা তিন মেয়াদের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ইফতারের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সন্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আয়োজিত এই ইফতারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সরকারবিরোধী শিবিরেরে নেতাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা ছিলেন না বললেই চলে। আওয়ামী লীগের আদর্শিত মিত্র ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিও ছিল অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কিছুটা কম।

ইফতার মাহফিলে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব দলের সঙ্গে নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপ করেছিলাম, তাদের সকলকে দাওয়াত দিয়েছি ইফতারে। অনেকের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা এসে এই গণভবনের এই মাটিকে ধন্য করেছেন।

বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এবার যে নতুন বাজেট আমরা দিতে যচ্ছি, ৫ লক্ষ কোটি টাকার উপরে আমাদের এই বাজেট হবে, ২ লক্ষ কোটি টাকার ওপর হবে উন্নয়ন বাজেট।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে একসময় অনেকেই খাবার যোগাড় করতে পারতো না। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, মানুষ যেন সুন্দরমতো বাঁচতে পারে, মানুষের জীবন যেন অর্থবহ হয়Ñ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জাতির পিতা এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এদেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকটা মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে। সংবিধানের আলোকে আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি মনে করি ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে যাবে পৌছে দেওয়া। এই বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। ইনশাল্লাহ বাংলাদশের আমরা দারিদ্রমুক্ত করবো।

তিনি এসময় সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ,মাদক-দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here