অনলাইন ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব পেশের ধরনকে অভিনব এবং কর আদায় সম্ভব হলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বসেই বাজেট অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন। এর আগে বাজেট অধিবেশনে অংশ নিতে হুইল চেয়ারে করে সংসদে উপস্থিত হন তিনি।

আবুল মাল আবদুল মুহিত মোট ১২ বার (টানা ১০ বার) বাজেট পেশ করেছেন। তিনি ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুবার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নিজেই বাজেট পেশ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রেজেন্টেশন অত্যন্ত সুন্দর। এক ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু হয়ে গেছে। ম্যাটার অফ চয়েজ। মোস্ট ইন্টারেস্টিং পার্ট ইট ইজ। এটা অবশ্য বিশেষ কারণে হয়েছে। সাধারণত আমরা মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাজেট পেশ করি। এবারে প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেশ করেছেন। ‘দিস ইজ নিউ ট্র্যাডিশন’।

তিনি বলেন, হ্যাঁ, সম্ভব হতে পারে। আমাদের দেশে ট্যাক্স পেয়ার লোয়েস্ট, এটা যদি পরিবর্তন করে করতে পারে, হাইলি পসিবল।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের আগে থেকেই বেশ অসুস্থ ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উত্তরসূরি হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম বাজেট বক্তৃতা। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজে বাজেট বক্তৃতা সম্পন্ন করতে না পারায় তার হয়ে লিখিত বক্তৃতার বাকি অংশ সংসদে পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অনুনোন্নয়ন ব্যয় তিন লাখ ২০ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here