চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান।
তিনি বুধবার (৮ জানুয়ারি) বুধবার বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নে আয়োজিত এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা তুলে বলেন।
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি জায়গায় আমরা ধানের শীষের আবেদন নিয়ে আমরা যাচ্ছি। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো জনগণ এবারও ভোট দিতে পারবে কি না, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা মানুষের শঙ্কা দূর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বোয়ালখালীতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে। তারা ধানের শীষের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে। বোয়ালখালীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আতংকজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ভোটারদেকে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেয়ার সুযোগ দিন। জনগণ যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। বিএনপির আস্তা আছে জনগণের রায়ে।
এছাড়া আকুবদন্ডী, কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে নুরুল হকের দোকান বাঘ্যারটেক, গোরস্থানের টেক, নোয়াহাট, ঈশ্বরভট্টের বাজার, বাদামতল ও চানপারা এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। এসময় তিনি বলেন, বিগত ১১ বছরে বোয়ালখালীতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয় নাই। উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহালদশা। কালুরঘাট ভান্ডালজুড়ি সড়ক বিএনপির আমলেই তৈরী করা হয়েছিল। যোগাযোগের নতুন কোন সড়ক তৈরী করা হয়নি। সরকার সমর্থকরা নিজেদের পকেট ভারী করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ইভিএম একটি প্রযুক্তি। এই ইভিএম দিয়ে বহুমুখী কারচুপি করার সুযোগ আছে। ইভিএম মেশিন নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু যারা এ মেশিন পরিচালনা করবে তাদের যদি ভোট চুরির মানসিকতা থাকে তাহলে চুরি করার অনেক সুযোগ আছে। তাই আমাদের বক্তব্য হচ্ছে ইভিএম মেশিনের আগে থেকে যে ভোট দেয়া থাকবে না, ধানের শীষে ভোট দিলে এই ভোট যে অন্য প্রতীকে যাবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। নির্বাচনের আগেই ইভিএম মেশিনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য মফজল আহমদ চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দিন আশফাক, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সভাপতি সৈয়দ মো. সাইফুদ্দিন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সুজন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মহসিন খোকন, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মুন্সি, দিদারুল আলম লিটন, ইকবাল হোসেন, আছহাব উদ্দিন দুলাল, মো. বখতেয়ার মেম্বার, তছলিম উদ্দিন, আবদুস সালাম, আবদুর মান্নান, জয়নাল আবেদীন আরজু, মোহাম্মদ আলী, সরওয়ার আলম, সাইদুল হাসান হিমু, ইসকান্দর মির্জা, আবু নাসের মন্নান, মো. সেলিম, মো. আজিম, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতিউর রহমান রাসেল, এনামুর হক সজীব, সাইদুল হক, মো. লোকমান, শওকত হোসেন জাহেদ, মো. ইসকান্দর, মনিরুল ইসলাম ডালিম, সরওয়ার আলম টুটুল, মো. ফোরকান, মো. জুনাইদ, মো. ওসমান গণি, মো. আলমগীর, আশরাফ মামুন, সিদ্দিক আজাদ রিহাদ, মো. এরফান, জয় দে, মো. জিসান, মো. রাসেল, শিহাব উদ্দিস, মো. সায়েম, মো. এমরান প্রমূখ।