চট্টগ্রামে বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দরের কারণে ঝুঁকি খুব বেশি বলে মন্তব্য করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম। তাই এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে। তবে বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হলেও সমুদ্রবন্দরে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

সোমবার বিকেলে হাম রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কিট আনার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রামে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও এটি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শষ্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিআইটিআইডিতে আইসোলেশনের জন্য ৫০টি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি, রেলওয়ে হাসপাতালে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল এবং সিটি করপোরেশন পরিচালিত কয়েকটি হাসপাতালসহ নগরীতে মোট ৩৫০টি শষ্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, নগরীর বাইরে উপজেলাগুলোর মধ্যে রাউজানে ৩০টি এবং হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড ও বোয়ালখালী উপজেলায় ১০টি করে শষ্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার ১৪টি উপজেলার মধ্যে বাকি আটটিতে আরও পাঁচটি করে শষ্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং করোনা সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের শত্রু না ভাবার আহ্বান জানান চট্টগ্রামের এ সিভিল সার্জন।

সংবাদ সম্মেলনে হাম রুবেলা বিষয়ে জানানো হয়, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ২১ লাখ ২৪ হাজার ৬৫০ শিশুকে মোট ৫ হাজার ১৭৯টি  কেন্দ্রের মাধ্যমে হাম রুবেলা রোগের টিকা দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামে কোয়ারেন্টিনের জন্য হাসপাতাল নির্ধারণ

জানা যায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা দেওয়ার পর বন্দর নগরীকে কোয়ারেন্টিন হিসেবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এরকম সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। পরিস্থিতির সবসময়ের খবর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালকে কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আইসোলেশনের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here