নিরাপত্তা ইস্যুতে অনিশ্চিত ছিল সাবিক-মুশফিক-রিয়াদদের ঈদের নামাজ পড়ার বিষয়টি। আইসিসি জানিয়েছিল এত মানুষের ভিড়ে জাতীয় দলকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
অবশ্য বাড়তি নিরাপত্তার আর প্রয়োজনও হয়নি। আইসিসির পরামর্শ মোতাবেক জাতীয় দলের মোড়ক সম্বিলিত বাস ব্যবহার করতে পারেননি মাশরাফি-সাকিবরা। তবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে ঠিকই আজ (মঙ্গলবার) লন্ডন সময় বেলা ১১ টায় নামাজ আদায় করেছেন তারা।
তবে তারা কোথায় নামাজ পড়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে শহরের কোলাহলের বাইরে খানিক দূরে, যেখানে অল্প মানুষ নামাজ পড়েন, সেসব মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়বে টিম বাংলাদেশ।
গতকাল লন্ডন সময় রাত ১০টা নাগাদ বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন মুঠোফোনে বলেন, আমাদের পক্ষে টিম বাসে করে আনুষ্ঠানিক বহর নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণে সেখানে আইসিসি বা লন্ডন পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া সম্ভব নয়। লন্ডনে প্রচুর মুসলিম বাঙালি, পাকিস্তানি, ভারতীয়সহ অনেক মানুষের সমাবেশ হবে। মূলত এতো ভিড়ের মধ্যে ১৫ জন ক্রিকেটার, দলের ম্যানেজারসহ ১৭-১৮ জন মানুষের নিরাপত্তা দেয়া কঠিন।
তিনি তখন আরও বলেন, আমরা নামাজ পড়বো। তবে কোথায় পড়ব, কীভাবে পড়ব- সেটা কী দলবদ্ধ হয়ে যাবো না বিচ্ছিন্নভাবে তিন-চারজন করে যাবো সেটা এখনই বলতে পারছি না।
আজ নামাজ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঈদের আনন্দ ভাগ করেছেন খেলোয়াড়রা।