পুষ্টিবিদরা বলেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সেহরি ও ইফতারে খাদ্য দ্রব্য বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। জীবনাচরণেও কিছুটা পরিবর্তন আসে এই সময়ে, পরিবর্তন আসে নিয়মিত কাজের ধরণেও।পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেহরি ও ইফতারে এমন ভারসাম্য রাখা উচিত যাতে শাকসবজি, ফলমূল, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারের সমন্বয় থাকে।এই গরমে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে যাতে শরীরে শক্তি ও পানির ঘাটতি না হয় সেজন্য সেহরিতে শক্তিবর্ধক খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।সেহরিতে দই খেতে খেলে সারাদিন শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এ সময় অতিরিক্ত লবণাক্ত এবং কেফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়।ইফতারে ফল খেতে পারেন। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া পানিযুক্ত সবজি যেমন শসা খেতে পারেন। এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। ইফতারে ডাবের পানিও খেতে পারেন। সারাদিন রোজা রাখার পর এটি শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন, গরমের এই সময সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকেই সেহরি না খেয়ে রাতে একবারে প্রচুর পরিমাণে খাবার খান। এতে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ইফতার ও সেহরিতে যে খাবারগুলো শক্তি যোগাবে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
তীব্র গরমের মধ্যে এবারের রোজা শুরু হয়েছে। আবার এদিকে করোনার ভয় তো মনে সারাক্ষণ ধরে বিরাজ করছে। তারপরও ভয় কাটিয়ে সতর্কতা অবলম্বনে ব্যস্ত সবাই। এমন গরমের সময় রোজা রাখলে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি আসবে সহজেই। আর এটাই স্বাভাবিক। রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ইফতার ও সেহরির সময় এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত যেনো ক্লান্তি কাটিয়ে শরীরে তা শক্তি জোগায়।