বিভাগের সম্পাদক
আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক স্বপ্ন পূরণের দিন ছিল ৮৮ বছর আগের এক পহেলা জুলাই। সেদিন ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় এদেশের শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের এই সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমাদের সেকালের নেতৃবৃন্দের যে কত ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা আজকের দিনে কল্পনা করাও সম্ভব নয়। প্রশাসনিক প্রয়োজনে বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীকে বিভক্ত করে ঢাকায় রাজধানীসহ ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামের একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দীর্ঘদিন অবহেলিত মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ববঙ্গের উন্নতির কিছুটা সুযোগ হয়। পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা-দীক্ষা ও অন্যান্যক্ষেত্রে বেশ কিছুটা উন্নতির ভাব পরিলক্ষিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে কায়েমী স্বার্থভোগী কলিকাতাপ্রবাসী জমিদাররা ১৯০৫ সাল থেকেই এই নতুন প্রদেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে বিরাট আন্দোলন গড়ে তোলে। ফলে মাত্র ছয় বছরের মাথায় ইংরেজ সরকার এ নতুন প্রদেশ বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়। সরকারের এ সর্বশেষ সিদ্ধান্ত পূর্ববঙ্গের জনগণ বিশেষ করে, মুসলমানদের মধ্যে বিপুল ক্ষোভ ও হতাশা দানা বেঁধে ওঠে। তাদের ক্ষোভ প্রশমনের লক্ষ্যে পূর্ববঙ্গের অন্যতম দাবি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় সরকার। এর বিরুদ্ধেও কলিকাতা প্রবাসী কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরা এই উদ্ভট যুক্তিতে প্রতিবাদ জানায় যে, পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান চাষাভুষা, তাই তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নেই। তারা ইংরেজ সরকারের কাছে সভা-সমাবেশ, মেমোরেন্ডাম প্রভৃতির মাধ্যমে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানাতে থাকে। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তিনটি যুক্তি তখন বড়ভাবে দেখানো হয়। তিনটি যুক্তিই খুব অদ্ভুত।
প্রথমত: ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে নাকি শিক্ষার মান ক্ষুণ্ণ হবে। দ্বিতীয়ত: ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষা-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিভাজন সৃষ্টি হবে। তৃতীয়ত: ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর শামিল। কারণ পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান চাষাভুষা, তাই তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো প্রয়োজন নেই। এই শেষোক্ত যুক্তির মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধীদের আসল মনোভাব, আসল মতলব বেরিয়ে এলো। অর্থাৎ মুসলমানরা পিছনে পড়ে আছে, তারা পিছনেই পড়ে থাক। যারা এগিয়ে আছে, তাদেরই আরো এগিয়ে নেয়া হোক। এই যে দেশের একটি জনগোষ্ঠীকে পেছনে ঠেলে দিয়ে আরেকটি জনগোষ্ঠীকে আরো এগিয়ে নেয়ার মনোভাব, এই সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক মনোভাবই কাজ করেছে বৃটিশ শাসনামলে অধিকাংশ হিন্দু কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিকের মধ্যে। বঙ্গভঙ্গকালে অবিভক্ত বঙ্গদেশে মোট ৪৫টি কলেজ ছিল। তার ৩০টিই ছিল পশ্চিমবঙ্গে। পূর্ববঙ্গ ও আসামে ছিল মাত্র ১৫টি। আসামে ছিল দু’টি, একটি গৌহাটিতে, অপরটি সিলেটে। মুসলিম অধ্যুষিত সমগ্র পূর্ববঙ্গে ছিল মাত্র ১৩টি কলেজ, যদিও পূর্ববঙ্গের জনসংখ্যা ছিল পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু কলিকাতায়ই ছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩টি কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ ৭টি পেশাজীবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবেই এমন হৈ চৈ শুরু করে দেয়া হয় যেন এর ফলে দেশের মহা সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে।
১৯২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কলিকাতায় বিডন স্কোয়ারে সুরেন্দ্রনাথ সমাজপতির সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় তাতে সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলা সাহিত্য বিভক্ত হয়ে পড়বে, কেননা পূর্ববঙ্গের অর্ধশিক্ষিত ও মুসলিম লেখকরা আরবি, ফার্সি, উর্দু শব্দযোগে যে সাহিত্য রচনা করবেন তা পশ্চিমবঙ্গের ভাষা থেকে স্বতন্ত্র হবে। ফলে বাংলাভাষা ও সাহিত্য দ্বিধাবিভক্ত হবে। সাহিত্য যদি বিভক্ত হয় তাহলে বাঙ্গালী জাতি আবারো বিভক্ত হবে এবং তা ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে আরো মারাত্মক হয়ে উঠবে। সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন খোদ ঢাকার হিন্দুপ্রধান উকিলসমাজও। ৫ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে ঢাকা উকিল সমিতি দু’টি প্রতিবাদ সভার অনুষ্ঠান করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে এই যুক্তিতে বিরোধিতা করে যে, এতে করে শিক্ষার মান অবনত হবে। দু’টি সভায়ই সভাপতিত্ব করেন উকিল ত্রৈলোক্য নাথ বসু। শিক্ষিত হিন্দুদের সৃষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী এই আন্দোলনের ফলে ইংরেজ সরকার খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। বঙ্গভঙ্গ রদ করায় মুসলমানরা এমনিতেই ভয়ংকর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে, এখন যদি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওয়াদা থেকেও সরকারকে সরে আসতে হয়, তাহলে তা মুসলমানদের আরো বিক্ষুব্ধ করে তুলবে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী হিন্দু নেতারাই সমস্যার সমাধান হিসেবে নতুনভাবে আন্দোলনের দাবি উত্থাপন করেন। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়াই ভালো। অগত্যা যদি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়ই তা হলে তা শুধু শিক্ষাদান কার্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির বাইরে তার কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না এবং অন্য কোনো কলেজের এফিলিয়েটিং ক্ষমতাও তার থাকবে না। অর্থাৎ অবিভক্ত বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর সীমানার মধ্যে সমস্ত কলেজ ও মাধ্যমিক স্কুলকে পূর্ববৎ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীনেই রেখে দিয়ে জন্মলগ্ন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পঙ্গু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলো। সরকার হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। সরকার মুসলমানদের ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওয়াদা দিয়েছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা ও এখতিয়ার নিয়ে তো আর কোনো কথা বলেনি। মুসলিম নেতারাও অগত্যা যা পেলেন, তা নিয়েই খুশি থাকতে চেষ্টা করলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোক্তা নবাব সলিমুল্লাহ বঙ্গভঙ্গ রদের আঘাতে সেই যে শোকাহত হন, সেই শোক-দুঃখে তিনি রাজনীতি থেকেই ১৯১২ সালে অবসর নিলেন। এরপর তিনি আরো তিন বছর বেঁচে ছিলেন। তাঁর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় তিনি দেখে যেতে পারেননি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য তিনি তার জমিদারি থেকে একশ’ বিঘারও অধিক জমি দান করে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। এরপর ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বৃটিশ শাসিত ভারত সরকারের সুপারিশ বৃটিশ সরকারের ভারত-সচিব কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
১৯১২ সালেই ব্যরিস্টার রবার্ট নাথনকে সভাপতি এবং ডিএস ফ্রেজারকে সদস্য-সচিব করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত বিষয়াদি নির্ধারণের লক্ষ্যে। এই ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধ আন্দোলনের অন্যতম হোতা রাসবিহারী ঘোষসহ ৭ জন অমুসলিম সদস্য। এই কমিটিতে নওয়াব আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম ও আবু নসব ওয়াহিদ প্রমুখ ৪ জন মুসলিম সদস্য থাকলেও তাদের করার কিছুই ছিল না। কারণ বৃটিশশাসিত ভারত সরকারের পরিষ্কার দিকনির্দেশনা ছিল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি শিক্ষাদানমূলক আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং শুধু ঢাকা নগরীর কলেজগুলোর সমন্বয়ে এফিলিয়েটিংয়ের ক্ষমতারহিত একক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে উঠবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯১৩ সালে নাথন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ১৯১৪ সালে প্র্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার অজুহাতে সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকার্য স্থগিত করার সুযোগ পেয়ে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারেননি। ১৯১৫ সালে তিনি অল্প বয়সে ভগ্নহৃদয়ে ইন্তিকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই কৃতী সহযোগী ধানবাড়ির জমিদার সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এবং উদীয়মান জননেতা একে ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটানা চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। অতপর প্রধানত সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী অব্যাহত চেষ্টায় ১৯১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপিত হয় এবং তা ১৯২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন হিসেবে অনুমোদিত হয়। ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ফিলিপ জেহার্টস তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অতপর ১৯২১ সালের ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যার তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা বহুদিন পর্যন্ত বেশি ছিল। শিক্ষকদের অবস্থাও তথৈবচ। প্রথমদিকের বেশ কয়েকজন ভাইস চ্যান্সেলরই ছিলেন ইংরেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এ দেশি ভাইস চ্যান্সেলরও ছিলেন হিন্দু। স্যার এএফ রহমানের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মুসলমান ভাইস চ্যান্সেলরপদে নিয়োগ পাননি। প্রতিষ্ঠাকালে যে তিনটি আবাসিক হল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে সেগুলো ছিল সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ঢাকা হল, হিন্দুদের জন্য জগন্নাথ হল এবং মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। এই তিন হলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৮৬, ৩১৩ ও ১৭৮ জন। মাত্র ৮৭৭ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল তা এককালে শিক্ষা-দীক্ষায় এতটাই উন্নত ছিল যে, একে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে অভিহত করা হতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যারা বিরোধী ছিল তাদের চক্রান্তেই ১৯২১ সালের ১ জুলাই এফিলিয়েটিংয়ের ক্ষমতাবিহীন একটি ঠুঁটো জগন্নাথ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তার এ রুগ্নদশা থেকে মুক্তি পায় সাতচল্লিশের পার্টিশনের পর। তখন তদানীন্তন পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত কলেজ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীনে আসে। সাতচল্লিশের আগে এদেশের স্কুল ও কলেজই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত ছিল। সাতচল্লিশের পার্টিশনের পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সকল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন আসে এবং সমস্ত স্কুল ঢাকা বোর্ডের এখতিয়ারভুক্ত হয়। এই হিসাবে বলা যায়, সাতচল্লিশের পার্টিশনের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার জন্মকালীন পঙ্গুদশা থেকে মুক্তি লাভ করে।