এ ছাড়া ২০০৯ সালের পর যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকেও নতুন করে এই তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢালাওভাবে সুবিধাবাদী এবং মতলববাজরা যেন আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি কঠোর নির্দেশনা জারি করেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি দলে নেয়ার আগে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তির আবেদনে ১২টি তথ্য চাওয়া হয়েছে।
- এই তথ্যগুলো হলোঃ
১. ক. ১৯৭৫ সালে আপনার অথবা পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয় স্বজনের ভূমিকা কী ছিল?
খ. ১৯৭৫ এবং ১৫ আগস্টের পর তাদের চাকরি/ব্যবসায় কি ধরণের পরিবর্তন হয়েছিল?
২. ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের পর আপনার অথবা পিতা/মাতা এবং নিকটাত্মীয়ের অবস্থান/ভূমিকা।
৩. ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় আপনার এবং আপনার নিকটাত্মীয়দের ভূমিকা।
৪. আপনার পরিবারের (পরিবার বলতে বাবা/মা/স্ত্রী/পুত্র/কন্যা ইত্যাদি) কেউ কি জামাত কিংবা বিএনপি করে?
৫. যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত/অভিযুক্ত কারো সঙ্গে কি আপনার কোন ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে?
৬. যুদ্ধাপরাধী পরিবার/ জামাত/ বিএনপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে কি আপনার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে?
৭. আপনি কি কখনো অন্য সংগঠন/ছা্ত্র সংগঠন করেছেন? করে থাকলে কোনটি?
৮. আপনি কি কোন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে)?
৯. আপনি কি কখনো মাদক গ্রহণ/ মাদক ব্যবসার কারণে দণ্ডিত/অভিযুক্ত হয়েছেন?
১০. নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে (দুর্নীতি, চুরি ইত্যাদি) আপনি কি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়েছিলেন?
১১. আপনি কি সন্ত্রাস/অগ্নিসংযোগের কোন মামলার আসামী?
১২. আপনি কি আফগানিস্থান/সিরিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে ছিলেন?
একজন প্রাথমিক সদস্যপদ লাভে ইচ্ছুক এই তথ্যগুলো দিতে হবে। তার এই ফরম কেন্দ্রে আসবে। কেন্দ্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তথ্যের সত্যতা যাচাই করে তারপর তার সদস্যপদ প্রাপ্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সদস্যপদ প্রাপ্তির এই নতুন ফরম পূরণ করে সদস্য গ্রহনের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন থেকে।