দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু :

‘আলুর কেজি ৫০ টাকা। নিলে নেন, না নিলে যান।’ বিক্রেতাদের এমন ব্যবহারেই বুঝা গেছে দরদামের কোন সুযোগ নাই। এ প্রথম রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে আলুর। অন্যান্য সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও হঠাৎ আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের মাঝে।

আলুর দাম বাড়ায় এবার হয়তো আলু ভর্তাও আর জুটবেনা কপালে-এমনটিই বলতে শোনা যায় সাধারণ মানুষের মুখে। আলু গরীবের সবজি আখ্যায়িত করে সাধারণ ক্রেতারা বলেন, আলু যদি ৫০ টাকা হয় আমরা গরীবরা খাব কি? চড়া দামে অন্য সবজি কিনতে না পাড়লেও অন্তত: আলু ভর্তা দিয়ে হলেও কোনোরকমে চলতো, এখনতো সেটাও জুটবেনা। আমরা যাব কোথায়?

লাগামহীনভাবে দাম বেড়েছে সবজির। একমাস ধরে সবজির বাজার এমন চড়া হলেও সপ্তাহ ধরে যেন অস্থিরতা বিরাজ করছে সব সবজিতে।

গতকাল চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা সদরের কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা এক মহিলা ক্রেতা আলুর দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, আপা আলুর কেজি ৫০ টাকা। কিছু করার নাই। সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। আমরাও বেশি দামে কিনে আনছি, তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছি।

গতকাল উপজলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আমাদের বড় সাইজের আলু কেজি প্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি করলেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলুর সংকট দেখিয়ে ৫৫ টাকায়ও বিক্রি করছে। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শিম ১২০, পটল ৭০, বরবটি ৮০, তিত কড়লা ৮০, পেঁপে ৫০, লাউ ৫০, কচুর ছড়া ৫০, ফুল কপি ১৫০, বাঁধা কপি ১২০, শসা ১০০, ওল কচু ৭০, কাকড়ল ৭০, টমেটো ১৫০, ধনে পাতা ২৮০, কাঁচামরিচ ২৪০ গাজর ১২০ ও শাকের আটি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গেলেই মাথায় হাত ক্রেতাদের। কোন সবজিতেই হাত দেয়া যাচ্ছেনা বলে জানান অনেকেই। গত ২ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। তবে মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পিঁয়াজের ঝাঁজে চোখ জল।

বোয়ালখালীর জ্যৈষ্টপুরা, আমুচিয়া, শ্রীপুর ও কড়লডেঙ্গার কৃষকরা বলেন, শেষ মূহুর্তে বৃষ্টির কারণে সব জাতের চাষের শাক- সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলন না হওয়ায় বাজারে সবজি সরবরাহ করতে পারিনি। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। পরবর্তিতে আবার নতুন করে চাষাবাদ শুরু করেছি।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here