দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু,
বোয়ালখালীতে এবার আমনের ফলন হয়েছে সেই রকম। ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। গত দু,দিন ধরে আকাশে মেঘ দেখা দেওয়ায় দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, চাষীদের ধান কাটা এবং ঘরে তোলার দৃশ্য। তবে এখনো অনেক ক্ষেতের ধান পাকেনি। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে সব ধান উঠে যাবে বলে জানান কৃষকরা।
এবার আমন মৌসুমে ধানের ফলন হয়েছে সেই রকম। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ধান ঘরে তুলতে সমস্যা হবেনা বলেও জানিয়েছেন তারা।
আমুচিয়া এলাকার কৃষক নিপুল দাস জানান, এবছর তিনি নিজের ২ একর জমিতে আমন লাগিয়েছেন। প্রতি একর ধান চাষে তাঁর খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ পুষিয়ে লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
একই কথা জানিয়েছেন জ্যৈষ্টপুরা এলাকার কৃষক মো. শহীদ, মো. ইছহাক ও আহমদুর রহমান। তবে শ্রীপুর এলাকার কৃষক মো. হাসান বলেন ধানের ফলন ভালো হলেও চাষে ট্রাক্টর, সার ও মুজুরী খরচ বেশী বেড়ে গেছে। তাই চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ১ শত ২১ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ব্রি ৩৯,৪৯,৮৭ ও স্থানীয় পাইজাম জাতের ধান লাগানো হয়েছে। কৃষকদের তৎপরতা, সঠিক পরিচর্যা ও উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে ফলন বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ।
কৃষকদের মধ্যে আগাম ধান চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে খরচ কম, অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায়। অতি বৃষ্টির ফলে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সাধাররণ সম্পাদক কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মোজাম্মেল হক বকুল বলেন, এবার আমনের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধান কাটা মাড়াইয়ে কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মাঠের সব ধান ঘরে উঠবে।