বিশ্বের করোনা ভাইরাসে তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, ৬০ বছরের কম বয়সী এবং অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যবান রোগীরা কেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যাচ্ছে তা আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। খবর-ইন্ডিপেন্ডেন্ট
বিশ্ব জুড়ে মহামারির আকার নেওয়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া রোগীদের বেশিরভাগই বয়স্ক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগে থেকে অসুস্থ থাকা বয়স্ক ব্যক্তিরাই এতে বেশি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে গত কয়েক দিনে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকেই তরুণদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ভ্যান কেরকোভ বলেন, ‘এই মুহূর্তেও অনেক কিছুই অজানা। সামগ্রিকভাবে যারা মারা গেছেন তারা মারাত্মক রোগে ভুগছিলেন এবং আইসিইউতে বয়স্কদের মৃত্যু হচ্ছিলো। কিন্তু কয়েকটি দেশে আমরা দেখতে পেয়েছি ৩০, ৪০ বা ৫০ এর কোঠায় থাকা ব্যক্তিরাও আইসিইউতে মারা গেছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আরও বেশি তরুণ, যারা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত না হয়েও মারা যাচ্ছেন’।
গত সোমবার লন্ডনে ১৩ বছরের এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার দৃশ্যত অন্য কোনও শারিরীক জটিলতা ছিলো না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রতি ছয় জনের মধ্যে এক জনের বয়স ৬০ বছরের নিচে। ইতালিতে আইসিইউতে মারা যাওয়া দশ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর বয়স ৫০ বছরের নিচে।