আবো, ডেস্ক
ভারত পেয়াজ রপ্তানির উপর শুল্ক কমালো, পাকিস্তান থেকেও নাকি পেয়াজ আমদানি হল, কিন্তু বাজারে পেয়াজের দাম আজকে ১ মাস ধরে ১০৫-১১০ টাকা। আমদানির কোন ইম্প্যাক্ট পড়েনি। কেন..?
এদিকে রাস্তায় চাঁদাবাজি নাকি নাই তাহলে কাঁচা সবজির দামও কেন কমছেনা? শশা ৬০-৮০ টাকা, চিচিংগা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা।
শুনেছি ভারত থেকে আলু আমদানি করা হইছে যেটার মূল্য প্রায় ২২ টাকা করে। কিন্তু লোভীগুলো দেখবেন ঠিকই ৫৫ টাকার কম বিক্রি করছেনা। অথচ যদি বাড়ানোর ব্যাপার থাকতো, তাহলে এলসি করা মাত্র দাম বাড়াই দিত।
ফার্মের মুরগীতে কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ছে। এখন চলছে ১৯০ টাকায়। মাছের বাজারতো আগুনই। ওটা আগের অবস্থানেই আছে। তেলাপিয়া কেজির বেশি হলেই ২২০। পাঙ্গাস ছোটটা ১৭০-১৮০ টাকা কেজি। ইলিশ নিয়েতো বলছি আলাদা করে।
তবে সবচেয়ে অবাক হইছি, কালকে নেসক্যাফের একেবারে ছোট জার কিনছি যেটার দাম ছিল ১২৫ টাকা, সেটা এখন হইছে ১৪০ টাকা। এটার ওজন মাত্র ২৫ গ্রাম। তাহলে চিন্তা করেন কেজি প্রতি কত বাড়াইছে.?
সাধারণ জনগন গ্রোসারি আইটেমে অত মনোযোগ না দেওয়াতে সাবান, কফি, হ্যান্ডওয়াশ, এলাচি, জিরা, এরকম অনেক কিছুর দাম বাড়তে বাড়তে ক্রমাগত নাগালের বাহিরে যদিও নেসক্যাফে ছাড়া বাকী সবকিছুর দাম অর্থবছরেই বাড়াই দিছে।
বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে সরকারকে শুধু আমদানি করেই খালাস হলে হবেনা। ভোক্তা পর্যায়ে সেটাকে নিয়ে যেতে হবে। তেলের মত দাম ঠিক করে দিতে হবে। খুচরা বিক্রেতারাই বেশি বেশি দাম রাখছে বলে আমার মনে হয়। অতিলোভী ব্যবসায়ীদের ধরতে হবে।
চাঁদাবাজির অজুহাত দিয়ে অনেক কিছুর দাম বেশি রাখতো সেগুলোরও তো দাম কমায়নি যেমন ট্রান্সপোর্ট। হাতিরঝিলে চলা সিএনজির ভাড়া কি কমছে.? এদিকে রাস্তায় চলা দূর পাল্লার বাসেও ভাড়া কমেনি যেখানে তেলের মূল্য কমানো হইছে এবং চাঁদাবাজিও নেই। এগুলো মনিটরের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশাসনকে আরো একটিভ করতে হবে। উপদেষ্টারা অনেক ব্যস্ত জানি কারন মাত্র ২০-২৫ জন মানুষের পক্ষে সবকিছু ট্যাকেল দেওয়া কঠিন যদি প্রশাসন ঠিকমত হেল্প না করে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক একটা স্থবিরতা দেখা যায়।
যাইহোক, জানালাম। এটা আগে বহুত বিপরীত অবস্থানে থেকেও দিতাম। লোকজন গদগদ করতো। ও দিলাম।