জুমাতুল বিদা অর্থ মাহে রমজানের শেষ জুমা বা শুক্রবার। জুমার দিন দোয়া কবুলের দিন। আর জুমাতুল বিদা হচ্ছে সকল জুমার শ্রেষ্ঠ জুমা। শুক্রবার ( ৩১ মে ) এই বছর পালিত হবে এই দিনটি। তাছাড়া যেহেতু রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের বিদায় অত্যাসন্ন, তাই এই দিনে নিজের পাপরাশি মাফ করিয়া নেওয়ার একটি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকে।

এ দিন রমজান মাস শেষ হয়ে যাওয়ার সতর্কতামূলক দিবস। জুমাতুল বিদা রোজাদারদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মাহে রমজানের সমাপনান্তে এ বছর এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এ পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা অবশ্যকর্তব্য। মাহে রমজানের শুরু থেকে যেসব ইবাদত ব্যস্ততাবশত ফেলে রাখা হয়েছে, যে গুনাহখাতা মাফের জন্য কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে ভুল হয়েছে, জুমাতুল বিদার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সময়ে তা-ই করা উচিত। সাপ্তাহিক জুমার নামাজ মুসলমানদের বৃহত্তর জামাতে অনুষ্ঠিত হয়।

রমজান মাসের জুমাবার আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময়। জুমাতুল বিদাসহ মাহে রমজানের প্রতি জুমাবারে ইবাদত-বন্দেগিতে অধিকতর সওয়াব লাভের সুবর্ণ সুযোগ থাকে। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একটি মাস ত্যাগ-তিতিক্ষার সঙ্গে সিয়াম সাধনার পর এ দিনটিতে জুমার নামাজ আদায় করে মাহে রমজানকে বিদায় সম্ভাষণ জানান।

দিনটি আবার মুসলিম জাহানে কুদস দিবস হিসাবেও পালিত হয়। সব মিলে জুমাতুল বিদা আমাদের সামনে পুণ্যের এক মহা সমারোহ ও গুনাহ মাফের অফুরন্ত সুযোগ এনে থাকে। তাই এই অপূর্ব সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটাকেই মুমিন-মুসলমানগণ তাদের দায়িত্ব মনে করে থাকেন।

পবিত্র কোরআনে শুক্রবারের নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জোরালো দিকনির্দেশনা দিয়ে সব মুসলমানকে এই দিন মসজিদে একত্র হয়ে জুমার নামাজ আদায়ের তাগিদ প্রদান করা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর।

এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ (সূরা আল-জুমুআ, আয়াত: ৯) মাহে রমজানের সব শুক্রবারই অত্যন্ত পবিত্র ও বরকতময় দিবস। তাই বিদায়ী শুক্রবার জুমাতুল বিদা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here