মাদক, চোরাচালান, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ছিনতাই, ধর্ষণ, ইভটিজিং, শ্লীলতাহানিসহ সব ধরনের অপরাধ কমাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সবোর্চ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
এসব অপরাধ ঠেকাতে অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি টাস্কফোর্সের অভিযান জোরদার করার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা ও বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিভাগীয় কমিশনার এসব নির্দেশনা দেন।
এবিএম আজাদ বলেন, আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।
সভায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রত্যেক জেলায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালানরোধ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো ঘটনাকে পুঁজি করে কোথাও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে দেওয়া হবে না। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, নগরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন রোধে জানুয়ারি মাসে ১৭২টি অভিযান পরিচালনা করে ৩২৯টি মামলা রুজু এবং ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় জানুয়ারি মাসে ১১৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৮৩টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।